সারা-বাংলা

পটুয়াখালী দশমিনায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ

দশমিনায় যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে।

✍️ প্রতিবেদক: দশমিনা প্রতিনিধি | 📅 প্রকাশের তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে।

পটুয়াখালী-৩ আসনের অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান খান সমর্থিত ইউনিয়ন যুবদলের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন হুমায়ুন কবীর।
২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার জন্য গণসংযোগ চালান তিনি। তবে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে, তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের শর্তে প্রথমে তৎকালীন পটুয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি এস এম শাহজাদার সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং নিজ দলের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন হুমায়ূন কবীর। পরে এমপির চাচাতো ভাই সুমন সরদারের সাথে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেন।
সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বর্জন করলেও, তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম শাহজাদার নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন।

২০২৪ সালে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর সংসদ বাতিল হলে এমপি শাহজাদা আত্মগোপনে চলে যান। তার ব্যবসা-বাণিজ্যের দায়িত্বও সামলান হুমায়ুন কবীর।

তাছাড়া ঐ ইউনিয়নের শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মৃধা একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক এমপি শাহজাদা ও যুবলীগ ক্যাডারসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর হুমায়ুন কবীর আশরাফ হোসেন মৃধাকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে যান এবং মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য ৮ লাখ টাকা অফার করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা জানান, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার ভাগ্নে শাহজাদাকে রাতের ভোটে এমপি বানানো হয়। এরপর থেকেই হুমায়ুন কবীর রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক সুবিধা আদায় করতে শাহজাদার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

বর্তমানে স্থানীয় যুবদলের কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলে হুমায়ূন কবীর পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি যুবদলের সভাপতি পদে প্রার্থী হতে মরিয়া এবং পটুয়াখালী-৩ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান মামুনের বাসায় ঘন ঘন যাতায়াত শুরু করেছেন।

স্থানীয় নেতারা হুমায়ুন কবীরের এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,

“আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি, বর্তমানে যুবদলের সভাপতি প্রার্থী এবং ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান প্রার্থী। আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন সব জানেন। এসব মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে কোনো লাভ হবে না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *