সারা-বাংলা

বাউফলে ইউএনও-এর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঝাড়ু মিছিল

✍️ প্রতিবেদক: এম.এ হান্নান 📅 প্রকাশের তারিখ: ২১ মে ২০২৫, বুধবার

বাউফলে ইউএনও-এর বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে বুধবার বিকেলে ছাত্র-জনতার ব্যানারে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলটি পৌর শহরের পাবলিক মাঠ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ গেইট সড়কের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাউফল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. শুভ চন্দ্র শীল, বাউফল উপজেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আয়শাতুন্নেছা বর্ষা এবং কালাইয়া কামিল মাদরাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শাহনাজ আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, জাতীয় পর্যায়ে একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক কালের কণ্ঠের পটুয়াখালী প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেল ও খবরপত্রের বাউফল প্রতিনিধি এইচ এম বাবলুর সঙ্গে ইউএনও আমিনুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বক্তারা আরও বলেন, “আমরা দুর্নীতিবাজ ইউএনওকে বাউফলে চাই না। এমন একজন ইউএনও চাই যিনি প্রকৃত অর্থে জনগণের সেবক হবেন।”

তারা আরও অভিযোগ করেন, ইউএনও ইতোমধ্যে নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ১৫টি কেন্দ্র থেকে সম্মানীভাতা হিসেবে প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। বক্তারা ঘোষণা দেন, “আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে এই ইউএনওকে অপসারণ না করা হলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

স্থানীয় রিকশাচালক আঃ মমিন অভিযোগ করেন, “আমি একদিন উপজেলা চত্বরে রিকশা নিয়ে ঢুকে পড়েছিলাম। আমি বুঝিনি উনি ইউএনও। তখন তিনি আমাকে ২-৩টি চড়-থাপ্পড় মারেন। আমাকে ধরে নিয়ে যান। পরে উনার ড্রাইভার ইব্রাহিম এসে আমাকে ছাড়িয়ে আনেন।”

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কোনো অসদাচরণ করিনি। বরং উনি (সাংবাদিক) আমার সঙ্গে অসদাচরণ করেছেন।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইউএনওকে দাওয়াত না দেওয়ার ঘটনায়, কমিটির সভাপতি ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এমরান হাসান সোহেলকে হুমকি দেন ইউএনও। তিনি বলেন, “আমি প্রজাতন্ত্রের এমন চাকার, মালিককে শান্তিও দিতে পারি।” এই হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *