বাউফলে চলাচলের পথে খাম্বা বসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন
১৩টি পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় খাম্বা বসানোর পরিকল্পনায় উত্তেজনা, স্মারকলিপি প্রদান ইউএনও’র কাছে
✍️ প্রতিবেদক: এম.এ হান্নান, বাউফল প্রতিবেদক 📅 প্রকাশের তারিখ: ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার
বাউফলে চলাচলের পথে খাম্বা বসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ১৩টি পরিবারের ভুক্তভোগী সদস্যরা। পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া বন্দরের নুরবাগ এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক মানুষের চলাচলের পথ বন্ধ করে বৈদ্যুতিক খাম্বা বসানোর পরিকল্পনার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
শুক্রবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কালাইয়া বন্দরের সিনেমা হল রোডে নুরবাগ এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আমিনুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, “আমরা ১৩টি পরিবারের প্রায় ২০০ জন এই পথ দিয়ে ৩০ বছর ধরে চলাচল করে আসছি। হঠাৎ করে এই পথ বন্ধ করে বৈদ্যুতিক খাম্বা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি হলে আমাদের জন্য মৃত্যুসমত হবে। জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতাল যাওয়া যাবে না, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না।”
তারা আরও বলেন, “আমরা চাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অন্তত এই একমাত্র চলাচলের পথটা যেনো সচল রাখা হয়। প্রয়োজনে পথের জমির বাজার মূল্য আমরা দিতে রাজি আছি। কিন্তু তারা অমানবিকভাবে আমাদের পথ বন্ধ করে দিতে চায়। উপজেলা প্রশাসনের প্রতি আমাদের আবেদন—উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে যেনো শান্তিপূর্ণ সমাধান করা হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রিয়াজ পঞ্চায়েত বলেন, “চলাচলের পথ বন্ধ করে দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ইউএনও মহোদয়ের মধ্যস্থতায় একটি সমাধান হোক এটাই প্রত্যাশা।”
এ বিষয়ে জমির মালিক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, “আমার জমিতে আমি খাম্বা বসাবো। এখানে বাধা দেওয়ার কারো এখতিয়ার নেই। তারা আইন বহির্ভূতভাবে বাধা দিচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”