ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজ ও গ্যাস ব্যবহারের দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
ভোলা জেলার শিক্ষার্থীরা ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং গ্যাস ব্যবহারের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন।
✍️ প্রতিবেদক: আদিলুর রহমান সজিব | 📅 প্রকাশের তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫
আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ, ভোলা মেডিকেল কলেজ স্থাপন এবং ভোলার গ্যাস স্থানীয় জনগণের ব্যবহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভোলা জেলার শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীদের তিনটি প্রধান দাবি
- ভোলা-বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন
- ভোলায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন
- ভোলার গ্যাস ভোলাবাসীর ব্যবহারের জন্য অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা
ভোলা-বরিশাল সেতুর প্রয়োজনীয়তা
ভোলা বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপ জেলা, যার সাথে মূল ভূখণ্ডের কোনো সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই।
বর্তমানে বরিশাল থেকে লঞ্চযোগে ভেদুরিয়া পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা এবং স্পিডবোটে ৪০ মিনিট সময় লাগে। এরপর ভেদুরিয়া থেকে ভোলা সদর যেতে লাগে আরও প্রায় ৩০ মিনিট।
এই দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য যাত্রা দূর করতে তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর উপর দিয়ে প্রস্তাবিত ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে আনুমানিক ১৩ হাজার কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন চেয়ে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ভোলায় মেডিকেল কলেজের দাবিতে সোচ্চার
ভোলা জেলায় এখনো কোনো পূর্ণাঙ্গ সরকারি মেডিকেল কলেজ নেই।
ফলে গুরুতর অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল বা ঢাকার হাসপাতালে ছুটতে হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হলে প্রায় ৩০ লাখ ভোলাবাসী স্থানীয়ভাবে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাবে এবং স্বাস্থ্যখাতে ভোলার সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে।
ভোলার গ্যাস ভোলাবাসীর জন্য চাই
ভোলার শাহবাজপুর, ভোলা-নর্থ ও ইলিশা গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১৮০-২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সেই গ্যাসের সুবিধা পাচ্ছেন না। মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ভোলার গ্যাস প্রথমে ভোলাবাসীর ব্যবহারের জন্য নিশ্চিত করতে হবে এবং এরপর দেশের বৃহত্তর উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।
গ্যাস সংযোগের আওতাভুক্ত হলে ভোলার শিল্প, কৃষি ও জীবনমানের দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হবে বলেও মত দেন তারা।
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের অঙ্গীকার
বক্তারা বলেন, “আমাদের দাবি আমাদের অধিকার। ভোলার উন্নয়ন আমাদের অগ্রাধিকার।”
তারা একযোগে এই দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।